লকডাউনের কারনে চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্ন আয়ের মানুষ

 

দেশে দিন দিন করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ঠাকুরগাঁওবাসী।

তবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঋণের কিস্তি নিয়ে তারা আছে বিপদে।ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, লকডাউনের সিদ্ধান্তটি সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। মানুষ লকডাউন পুরোপুরি মানলে করোনা সংক্রমণের হার কমে যাবে বলে তাদের ধারণা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষজন চিন্তিত হয়ে পড়েছে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায়।

বিভিন্ন এনজিও থেকে যারা ঋণ নিয়েছেন তারাও কিস্তি পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত আছেন। হোটেল ব্যবসায়ী রাজীব হায়দার,চায়ের দোকানি মান্নান ইসলাম ও কায়ুম আলী জানান, তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে কিস্তি কীভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়ে তারা চিন্তিত।

ঠাকুরগাঁও রিপোটার্স ইউনিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জানান, করোনা সংক্রমণ যে হারে বেড়েছে তাতে লকডাউনের বিকল্প নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবমুখী।এই লকডাউন যাতে ব্যবসায়ীরা যথযথভাবে মেনে চলে এই আহ্বান জানাব। এদিকে লকডাউনের ঘোষণায় ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড ও কোচস্ট্যান্ডগুলোতে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারে ভিড় বেড়েছে। অনেকই লকডাউনের আগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটছেন। যাত্রীদের কাছে টিকিটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সেই সাথে তৃণমূল পর্যায়ে খোজ নিয়ে জানা যায় যে,গ্রামের বেশিরভাগই মানুষ এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে উদাসীন। তারা শতকরা ৯৫% এই মাস্ক ব্যাবহার করছেন নাহ।

সরজমিনে দেখা যে,ঠাকুরগাঁওয়ের ৭নং চিলারং ও ৮নং রহিমানপুরের কিছু দোকানে চলছে রমরমা ক্যারামবোর্ড খেলার আসর। যেখানে চলতেছে হাজার হাজার টাকার জুয়ার আসর।